প্রকাশ :
২৪খবর বিডি: 'হার্ভার্ড কেনেডি স্কুলের অ্যাশ সেন্টার ফর ডেমোক্রেটিক গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ইনোভেশন-এর সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গভর্নেন্স ইনোভেশন ইউনিট একটি সমঝোতা স্বাক্ষর করেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এতে বাংলাদেশের জনপ্রশাসনের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও শক্তিশালী হবে।'
'বুধবার (২৫ মে) যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে স্মারকটিতে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস এবং হার্ভার্ড কেনেডি স্কুলের অ্যাশ সেন্টারের পক্ষ থেকে অধ্যাপক ডগলাস ডব্লিউ. এলম্যানডর্ফ স্বাক্ষর করেন।
* কনস্যুলেট জেনারেল থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ড. কায়কাউস প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে তুলে ধরেন এবং ‘এসডিজি ২০৩০’ ও ‘রূপকল্প-২০৪১’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে সরকারের প্রচেষ্টা এবং প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন ।
' তিনি আশা প্রকাশ করেন, অ্যাশ সেন্টারের সাথে সহযোগিতা বাংলাদেশের জনপ্রশাসনে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে, যা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখবে।'
-এ বছরটি ‘বাংলাদেশ-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্কের’ ৫০তম বার্ষিকী উদযাপনের কথা উল্লেখ করে ড. কায়কাউস দুই দেশের মধ্যকার বিরাজমান সহযোগিতামূলক সম্পৃক্ততা আরও শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন। বাংলাদেশ সরকার এবং হার্ভার্ড কেনেডি স্কুলের মধ্যকার সম্পৃক্ততা ভবিষ্যতে বিশেষ করে শিক্ষা, গবেষণা ও উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে আরও প্রসারিত ও গভীর হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
* বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার অংশীদার হওয়া অ্যাশ সেন্টারের জন্য বিশেষ গুরুত্ব বহন করে উল্লেখ করে অধ্যাপক ডগলাস ডব্লিউ. এলম্যানডর্ফ এই সমঝোতা স্মারক বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সরকারের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তিনি সম্প্রতি বাংলাদেশের অভূতপূর্ব আর্থ-সামাজিক অর্জনএবং এই সাফল্যের পেছনে বাংলাদেশের সক্রিয়,বাস্তববাদী নীতি ও কৌশলের পাশাপাশি দূরদর্শী নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।
' এই বিশেষ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের মাধ্যমে মানবসম্পদ উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকার এবং হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সহযোগিতার একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, স্মারকের লক্ষ্য পাঠ্যক্রমের পুনর্মূল্যায়ন এবং জনপ্রশাসনের পর্যালোচনা, নীতি নির্ধারকদের প্রশিক্ষণ ও যৌথ গবেষণার সুযোগ অন্বেষণ করা। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে গতিশীল জনসেবা প্রদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক গৃহীত অনেক উদ্যোগের মধ্যে এই সমঝোতা স্বাক্ষর একটি বিশেষ উদ্যোগ হয়ে থাকবে।'